নারীর ক্ষমতায়ন ও নারীদের ফিজিক্যাল ফিটনেসের প্রয়োজনীয়তা বিবেচনায় ২২ নভেম্বর ২০১৯ খ্রি. তারিখ রাত ৮.০০ টার সময় উপজেলা পরিষদের অভ্যন্তরে 'উপজেলা পরিষদ লেডিজ ব্যাডমিন্টন কোর্ট' উদ্বোধন করা হয়েছে। শুভ উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক জনাব সুলতানা পারভিন স্যার। উপজেলা পরিষদের সম্মানিত চেয়ারম্যান জনাব জাহিদ ইকবাল সোহরাওয়ার্দী বাপ্পি'র পৃষ্ঠপোষকতায় এবং উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ যোবায়ের হোসেন এর পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে এই লেডিজ ব্যাডমিন্টন কোর্ট নির্মিত হয়েছে। এ সময় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সার্বিক জনাব হাফিজুর রহমান স্যার, উপজেলা পরিষদের সম্মানিত চেয়ারম্যান জনাব জাহিদ ইকবাল সোহরাওয়ার্দী, উপজেলা নির্বাহী অফিসার জনাব মোঃ যোবায়ের হোসেন, উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সহধর্মিণী জনাব মমতাজ মহল, জেলা প্রশাসনের সকল নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও তাঁদের সহধর্মিণীগণ, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান জনাব মোঃ আশিকুল ইসলাম সাবু, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান জনাব সাবিনা ইয়াসমিন, রাজারহাট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জনাব মোঃ এনামুল হক, ছিনাই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জনাব মোঃ নুরুজ্জামান বুলু, প্রেসক্লাব, রাজারহাটের সাধারণ সম্পাদক জনাব রফিকুল ইসলাম প্রমুখসহ অন্যান্য গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ এবং উপজেলা প্রশাসনের সকল কর্মচারী উপস্থিত ছিলেন।
উদবোধন অনুষ্ঠানের শুরুতেই আগত প্রধান অতিথি সম্মানিত জেলা প্রশাসক জনাব সুলতানা পারভিন স্যারকে ফুল দিয়ে বরণ করেন জনাব মমতাজ মহল। এরপর প্রধান অতিথি সকলকে সাথে নিয়ে ফলক উন্মোচন করেন। ফলক উন্মোচন শেষে জেলা প্রশাসক স্যার ইউএনও পত্নী ও লেডি ম্যাজিস্ট্রেটদের সাথে নিয়ে খেলার মাধ্যমে ব্যাডমিন্টন কোর্টের শুভ উদ্বোধন করেন।
#ব্যাডমিন্টন খেলার উপকারিতাঃ
১। বাড়তি ওজন কমানোঃ
ব্যাডমিন্টন খেলা বাড়তি মেদ ঝরাতে সাহায্য করে। অন্য যে কোন খেলার তুলনায় ব্যাডমিন্টন খেলায় ক্যালরি বার্ন হয় বেশী। এক ঘণ্টা ব্যাডমিন্টন খেললে ৪৮০ ক্যালরি বার্ন হয়, যেখানে সমপরিমাণ সময় দৌড়ালে বার্ন হয় এর মাত্র অর্ধেক। যদি নিয়মিত ব্যাডমিন্টন খেলার অভ্যাস গড়ে তুলা যায় তাহলে প্রতি মাসে ৪ কেজি ওজন কমানো সম্ভব। এই খেলাটি ভীষণ পরিশ্রমের, শরীরের প্রায় সব মাসল ব্যবহৃত হয়। তাই দ্রুত ওজন কমাতে এই খেলা অত্যন্ত কার্যকরী।
২। ফিটনেস বৃদ্ধিঃ
ব্যাডমিন্টনের মতো প্রতিযোগিতামূলক মজার খেলায় দৌড়াদৌড়ি আর লাফঝাঁপের মাধ্যমে ব্যায়াম হয়ে যায় পুরো শরীরের। তাই এটি খেলার মাধ্যমে ঘাম ঝরিয়ে আনন্দের সাথেই হয়ে যায় প্রয়োজনীয় শরীরচর্চা।
৩। মেটাবলিজম রেট বৃদ্ধিঃ
ব্যাডমিন্টন খেলা শরীরের Cardio-Pulmonary Function বাড়াতে সাহায্য করে যার কারণে স্বাভাবিক নিয়মে প্রচুর পরিমাণে ঘাম হয়। এর সাথে যে টক্সিন নিঃসৃত হয় তা একটা হাল্কা এবং ভারমুক্ত অনুভুতি দেয়।
৪। ফ্লেক্সিবিলিটি ও কার্যক্ষমতা বৃদ্ধিঃ
ব্যাডমিন্টন খেলায় প্রচুর নড়াচড়া এবং স্ট্রেচ করার মাধ্যমে শরীরের জয়েন্ট আরো ফ্লেক্সিবল হয়ে ওঠে।
এ খেলায় পায়ের এবং হাতের মাসলের অনেক ভালো ব্যায়াম হয়। এর ফলে খেলোয়াড়দের কার্যক্ষমতা দৃশ্যমানভাবে বৃদ্ধি পায়।
৫। অ্যাথলেটিক দক্ষতাঃ
একটি ভালো ব্যাডমিন্টন ম্যাচ বেশ দ্রুতগতির হয়। এর মাধ্যমে খেলোয়াড়দের গতি, রিফ্লেক্স এবং মনোবল গড়ে উঠে।
৬। হৃদপিণ্ডের কার্যক্ষমতা বাড়ায়ঃ
প্রায়ই আমাদের যাদের অতিমাত্রায় কোলেস্টরল আছে তাদের হৃদপিণ্ডের দেয়াল চর্বির জন্য বাধাপ্রাপ্ত হয়। ব্যাডমিন্টন হৃদপিণ্ডের মাসলকে সচল করে। কলেস্টরল কমায়। ফলে হৃদপিণ্ডজনিত স্বাস্থ্য সমস্যার ঝুঁকি কমে।
৭। হাড়ের ঘনত্ব বাড়ায় এবং মজবুত করেঃ
ব্যাডমিন্টন খেলা হাড়ের কোষগুলোর গ্রোথ বাড়ায়। সামগ্রিকভাবে শরীরের সামর্থ্য বাড়িয়ে করে তুলে আরো শক্তিশালী।
৮। ডায়বেটিসের ঝুঁকি কমায়ঃ
ব্যাডমিন্টন ১ ঘন্টায় যে পরিমাণ পরিশ্রম করতে বাধ্য করে তা রক্তের সুগার কমায় যা ডায়বেটিসের জন্য মূলত দায়ী। এটি লিভার থেকে সুগার সরবরাহ কমিয়ে দেয়, নিয়ন্ত্রণে রাখে এবং খেলোয়াড়দের রাখে ঝুকিমুক্ত।
৯। উচ্চরক্তচাপ কমায়ঃ
ঔষধপত্র ছাড়া উচ্চরক্তচাপ কমানো খুবই কঠিন। কারণ শরীর ওইসব ঔষধ গ্রহণে অভ্যস্ত হয়ে পড়ে। ব্যাডমিন্টন এক্ষেত্রে দারূণ সহযোগিতা করতে পারে। এই খেলা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে এবং শরীরে রাসায়নিক পদার্থের সরবরাহ বাড়ায় যা ঔষধের অভ্যস্থতাকে মোকাবেলা করে।
১০। মানসিক প্রশান্তিঃ
ব্যাডমিন্টন খেলা স্ট্রেস এবং উদ্বেগ দূর করতে সাহায্য করে। এছাড়া প্রতিযোগিতার মনোভাব এবং প্রতিপক্ষকে বোকা বানাবার চেষ্টার কারণে মানসিক তীক্ষ্ণতা ধরে রাখতেও এটি সহায়ক। সবার সাথে মিলেমিশে খেলার কারণে মানসিক প্রশান্তি পাওয়াও এই খেলার একটি বড় উপকারিতা।
#কারা খেলতে পারবেনঃ
১। উপজেলা পরিষদ, রাজারহাটে কর্মরত সকল মহিলা কর্মকর্তা-কর্মচারী।
২। উপজেলা পরিষদ, রাজারহাটে কর্মরত সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীর স্ত্রী-কণ্যাগণ।
৩। রাজারহাট থানার মহিলা পুলিশ সদস্যগণ।
৪। রাজারহাটের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষিকাগণ।
#নিয়ম_কানুন:
১। নিজস্ব র্যাকেট (ব্যাডমিন্টনের ব্যাট) থাকতে হবে।
২। শৃঙ্খলা ও ভদ্রতা বজায় রাখতে হবে।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস